মমতা সাক্ষাতে বিনীত নারায়ণ

নিউজ রাজনীতি
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে পা রাখতেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আবারও ফিরে এক হাওয়ালার স্মৃতি। কেননা সোমবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন হাওয়ালা-যোদ্ধা বিনীত নারায়ণ। এই বিনীতই হাওয়ালা কাণ্ডকে সাংবাদিক হিসাবে দেশবাসীর সামনে এনেছিলেন। প্রায় ৩ দশকের পুরনো ওই মামলায় নাম জড়িয়ে আছে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের।

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সূত্রকে আরও একবার সামনে এনেছেন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে। যদিও রাজ্যপাল জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভুল তথ্য তুলে ধরছেন, তবুও জল্পনা থেমে থাকেনি। আর সোমবার তো কার্যত ধনখড়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিল্লিতে মমতার সঙ্গে দেখা করলেন বিনীত। আগামী দিনে এই দুই চরিত্র বাংলার রাজ্যপালকে কতটা চাপে রাখেন সেটাই দেখার।
 
এদিন মমতা দিল্লিতে পৌঁছাতেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিনীত। গত মাসে হাওয়ালা-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা সেই সময় সাফ জানিয়েছিলেন, হাওয়ালা কাণ্ডে ধনখড়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পর্যন্ত দায়ের হয়েছিল। যদিও পরে ধনখড় পাল্টা দাবি করে জানিয়েছিলেন, হাওয়ালা কাণ্ডে কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। হাওয়ালা চার্জশিটে তাঁর নামও নাকি ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণও নেই। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই।

আরও পড়ুন:  ফের বিজেপিতে ভাঙ্গন , গাইঘাটায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ যুব মোর্চার সভাপতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে

কিন্তু ধনকরের সেই বিবৃতি সামনে আসতেই মুখ খুলেছিলেন বিনীত। দেশের মানুষের সামনে হাওয়ালা কাণ্ডকে নিয়ে আসা সাংবাদিক বিনীত এর পরেই সরাসরি ধনখড়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মিথ্যা কথা বলা উচিত নয়। আমি তাঁকে প্রশ্ন করব, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলা জৈন হাওয়ালা মামলার অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন কি? উদ্ধার হওয়া জৈন ভাইদের ডায়েরিতে তৎকালীন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’ ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। পাশাপাশি, প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধেও। নৈতিকতার কারণে আরিফ এবং ধনখড়ের অবিলম্বে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *