কিছুদিন আগেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল আগামী পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে অনুষ্ঠিত হতে চলা মেলার আগেই সাগর ব্লকের সব বাসিন্দাদেরই কোভিডের টিকাকরণ কর্মসূচী সম্পূর্ণ করে ফেলা হবে। মানে ওই সময়ের আগেই সাগর ব্লকের সব বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাক্সিনের ২টি করে ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই তৎপরতাও যে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ ঠেকাতে যথেষ্ট নয় সেটা বোঝা গেল জেলায় আবারও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ফিরে আসায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এদিন থেকে জেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনলো। জেলার গোসবা ও বিষ্ণুপুর-২ ব্লকে নতুন করে কোভিড সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আর তাই এই ২টি ব্লকের ৭টি জায়গায় প্রশাসন মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে।
কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণ ছড়ানোত্র ক্ষেত্রে প্রধান এলাকা হয়ে উঠছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। এর পাশাপাশি থাকছে দক্ষিন ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলাও। সোমবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে কোভিড তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় ৭৮৬টি সক্রিয় কোভিড কেস রয়েছে। তার জেরেই জেলা প্রশাসন ফের জেলায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনলো বলে জানা গিয়েছে।
একই সঙ্গে জেলায় থাকা পর্যটনকেন্দ্র, জেটি ঘাট ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা গুলিতেও কড়া নজরদারি চালানোর পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তবে অনেকেই বলছেন লোকাল ট্রেনে যে ভাবে গাদাগাদি করে ভিড় হচ্ছে তাতে করে জেলায় কোভিডের সংক্রমণের সংখ্যা কমার সম্ভাবনা নেই। বাসেও কার্যত একই ছবি। তাই কোভিড ঠেকাতে জেলার জনতা চাইছেন টিকাকরণে গতি আনা হোক।