ফের বিজেপিতে ভাঙ্গন , গাইঘাটায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ যুব মোর্চার সভাপতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে

নিউজ রাজনীতি রাজ্য
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

গাইঘাটায় বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত।  শক্তি বাড়াচ্ছে শাসকদল। ফুলশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা ও চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতিসহ 500 জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে ওই এলাকার বিজেপির পার্টি অফিস হাতছাড়া হয় তাদের।

রবিবার বিকালে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার ও গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোবিন্দ দাস। এদিনের এই যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ইলা বাগচি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান সংকর দত্ত সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলে কাজ করা যাচ্ছিল না। ফলে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে বলে জানান দলত্যাগীরা।

আরও পড়ুন:  স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য ভিনরাজ্য থেকেই আবেদন ১২০০০

তবে পার্টি অফিস দখল হয়েছে মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি এখানে যারা বিজেপি ছিল সবাই তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। ফলে পার্টি অফিস চালানোর মতো তাদের কেউ নেই। তৃণমূল পার্টি অফিস দখলের রাজনীতি করে না।

এ বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, সারা রাজ্যে তালেবানি শাসন চলছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে ধমকানি চমকানি প্রশাসন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়েছে। বাঁচার তাগিদে তারা গিয়েছে। তবে তারা যেখানেই থাক মনেপ্রাণে বিজেপি।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে দলত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওগুলি সব তৃণমূলের শেখানো কথা। একদল থেকে আরেক দলে গেলে এমন বলতে হয়। পার্টি অফিস হাতছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের কালচার। জোর করে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। খুন খারাপির ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *