পেগাসাসের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে উত্তপ্ত সংসদের উভয় কক্ষ। কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন কল ট্যাপ্ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ইস্যুতেই বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয়দিনেও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ।
অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস যৌথভাবে সরব হয় । তারপরই উত্তাল হয় লোকসভা। বাদ যায়নি রাজ্যসভা। রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সদস্যরাও ফোন ট্যাপ কলের বিরুদ্ধে সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে। বিরোধীদের অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে।
গতকাল থেকে অধিবেশন শুরু হওয়া যেভাবে উত্তাপের তাপ বয়ে গেছে রাজধানী দিল্লিতে তা দ্বিতীয় দিনও একই ধারা বজায় রাখল ও বিজেপি বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ সরকার ফোন কলের বিষয় জানতো তাই তারা গড়িমসি করছে।
বিরোধীদের দাবি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এই ইস্যুকে সামনে রেখে অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে দুই কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে উঠল কিছুক্ষণের জন্য। লোকসভা মুলতবি হলেও তাতে থামতে চায়নি তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস সাংসদরা। সংসদের বাইরে তার তীব্র প্রতিবাদ করে শাসক দলকে আক্রমণের নিশানা করে।
রাজনৈতিক মহলের মত, বাদল অধিবেশন যতদিন চলবে বিরোধী দলগুলি ততবেশি আক্রমনাত্মক হবে। তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। করোনা নিয়ে আলোচনা সরকার চাইলেও কিন্তু ফোন কল ইস্যুকে কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখতে চাইছেন না কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।
অধিবেশন কক্ষে সরকার এবং বিরোধীদের তীব্র বাদানুবাদে রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ফোন ট্যাপ কলের বিরুদ্ধে সরকারের কি স্ট্যান্ড তা বিরোধী দলগুলি জানতে চায়।
যদিও এর আগেও দেশের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের ফোন কল ইস্যুতে সরব হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্যসভা করোনা আবহে একুশের বাদল অধিবেশন এক অন্য মাত্রা নেবে তার উত্তাপের পরিবেশ দেখেই পরিষ্কার। এখন দেখার আগামী দিনগুলি সরকার কিভাবে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে অধিবেশন চালায়।
বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল এবারের অধিবেশনে আসতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে সহমতের ভিত্তিতে বিলে সমর্থন করবে নাকি সংসদকে উত্তপ্ত করে তুলবে বিরোধীরা? তার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হবে ।সব মিলিয়ে দেশের রাজধানী এখন রাজনীতির উত্তাপের বেড়াজালে আবদ্ধ।