রাজ্যে ভোটের শুরু থেকেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকে দেখেছে। ভোট শেষে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপিই। এবার বাংলার ধাঁচেই প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাতেও ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সে ক্ষেত্রে বাংলার ‘উইনিং কম্বিনেশন’ বদলাতে চাইছে না দল। সে রাজ্যেও কাজ শুরু করে দিয়েছে পেশাদার সংস্থা আইপ্যাক। স্বাভাবিকভাবেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরই যে ছক কষে দিচ্ছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। হাতে এখনও দু’বছর। এ দু’বছর হাতে সময় নিয়েই বাংলায় কাজ শুরু করেছিল আইপ্যাক। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর ২০২৬ পর্যন্ত আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। বাংলার পরবর্তী নির্বাচনের আগে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও সারা দেশজুড়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে এই পেশাদার সংস্থাটি। তার আগে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে আইপ্যাক। সূত্রের খবর, রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে সংস্থার আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, এক সময় ত্রিপুরায় সংগঠন ছিল তৃণমূলের। শুধু তাই নয়, নির্বাচিত বিধায়কও ছিলেন। একুশে বাংলা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করায় ত্রিপুরাতে ফের শক্তিশালী হয়ে উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন। বিশেষ করে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি বানচাল করতে এসে রাজ্যের বিজেপি সরকার যেভাবে তৎপর হয়ে উঠেছিল, শতাধিক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরেই আরও সম্ভাবনা দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় আসছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি আশিস লাল সিংহ সহ মোট ১৮ জন নেতা। সফরকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবার ত্রিপুরার সব ক’টি আসনেই প্রার্থী দেবে দল। তার রণকৌশল সাজাতেই ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের কলকাতা সফর। সূত্রের খবর, তারা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন। এছাড়া, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও সাক্ষাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতারা।