রাজ্যের অন্যতম সফল জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ ‘মা ক্যান্টিন’ এবার মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে চলেছে দিল্লি সরকার। অতি স্বল্প মূল্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের এই মানবিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাংলার হাজার হাজার অসহায় মানুষের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সেই উদ্যোগকে অনুকরণ করেই দিল্লি সরকার একই ধরনের প্রকল্প চালুর পথে হাঁটতে আগ্রহী। ফলে অনেকের মতে, বাংলার সাফল্যের পালকে যোগ হল আরও একটি নতুন সম্মান।
মা ক্যান্টিনে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ মাত্র পাঁচ টাকায় ভাত, ডাল, সবজি ও ডিমের খাবার পান। আশ্রয়হীন মানুষ থেকে শুরু করে অতিদরিদ্র পরিবার— সকলের কাছেই এই ক্যান্টিন এখন দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। বহু মানুষের বক্তব্য, মা ক্যান্টিন না থাকলে দিনের একবেলা খাবারও জোটানো কঠিন হয়ে পড়ত। তাই এই প্রকল্প তাঁদের কাছে শুধু খাদ্যের জোগান নয়, নিরাপত্তা ও মর্যাদার অনুভূতিও নিশ্চিত করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রকল্পের সূচনা হয়। অসহায় মানুষের জীবনরক্ষার এক প্রধান অবলম্বন আজ মা ক্যান্টিন।
রাজ্য সরকারের দাবি, বাংলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সামাজিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে অনুসরণ করা হচ্ছে। দিল্লি সরকারের মা ক্যান্টিন মডেল গ্রহণের সিদ্ধান্তও সেই ধারারই অংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে বাংলার এই প্রকল্প দেশের অন্যান্য রাজ্যের কাছেও দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
ভবিষ্যতে দেশজুড়ে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
