নববারাকপুরে বিদ্যাসাগর স্মরণ

রাজ্য
সময় লাগবে পড়তে: < 1 মিনিট

নববারাকপুর :ঊনিশ শতকের প্রাণপুরুষ শিক্ষাবিদ সমাজসংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম মহাপ্রয়াণ দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হল নববারাকপুরেও।বিদ্যাসাগর নামে তিনি পরিচিত। বৃহস্পতিবার সকালে কোভিড বিধি মেনে নববারাকপুর বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে দক্ষিণ কোদালিয়া সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৩০ তম মহাপ্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান হয়।

শুরুতে বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এরপর গানে কবিতায় আলোচনায় মনীষিকে স্মরণ করা হয় এদিন। নারীমুক্তি আন্দোলন, বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষা প্রচলন, বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান কর্মী স্বপন কুমার দাস, সমাজসকর্মী সত্যব্রত সেন, শৈলেন্দ্র নাথ ঘোষ, কলোনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কুন্তলা কুন্ডু। আবৃত্তি করেন শ্রীপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। সংগীত পরিবেশন করেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়া শ্যামলেন্দু মজুমদার, কিশোর লোধ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাউল গনেশ চন্দ্র রায় বাউল ।

আরও পড়ুন:  প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী!

স্বাগত ভাষনে বিদ্যাসাগর চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক রামেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বাংলা নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জন সাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন দয়ার সাগর নামে। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনোই তাঁর দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থ সঙ্কটের সময় ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তার পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্র বল বাংলায় প্রবাদ প্রতিম। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষা প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরনে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সাথে এদিন। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে যথাযথ মর্যাদার সাথে এই দিনটি পালন করা হয়।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ও সহ শিক্ষক এবং গণসংগঠনের বিশিষ্ট জনেরা বিদ্যাসাগরের প্রতিচ্ছবিতে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *