বিরোধী দলের তকমা থাকবে তো? এই চিন্তাই ঘুরছে বিজেপির মাথায়। কারণ ৭৫ আসন থেকে কমে হয়েছে ৭২। এরপর সেটা কমে আরও নিম্নগামী হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের দিন আরও পাঁচ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ওই পাঁচ বিধায়ক বুধবার দলের রাজ্য নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। গরহাজির থাকা বিধায়কদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বিধায়কও রয়েছেন। ফলে গরহাজির থাকা বিধায়করা আদৌ দলে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান পদ্ম শিবিরের রাজ্য নেতৃত্ব।
পৃথক রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা হোক উত্তরবঙ্গকে। একুশের ভোটে হেরে এই জিগিড় তুলেছে বিজেপি সাংসদ কিংবা নেতারা। আর এই ঘটনায় যথেষ্ট চটে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের বিজেপির কিছু বিধায়ক। এই কারণেই শাহের সফরের আগে আজ বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতাদের একটি আলোচনা সভা ছিল। যেখানে উত্তরবঙ্গ নিয়ে কী বক্তব্য রাখা হবে? সংবাদমাধ্যমে কী তথ্য দেওয়া হবে? তা নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা ছিল। আর সেই বৈঠকেই নাকি গরহাজির ছিলেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। আর তাতেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আগামী ৫ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন আর ঠিক তখনই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন এই পাঁচ বিধায়ক। গত দু’দিনে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন দুই বিধায়ক। এইভাবে একে একে একাধিক বিধায়ক তৃণমূলে চলে আসাতে স্বভাবতই চিন্তায় রয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন আবার কলকাতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মালদহ জেলার দুই বিধায়ক। হবিবপুর বিধানসভার জুয়েল মূর্মূ। অন্যজন মালদা বিধানসভার গোপাল চন্দ্র সাহা। জুয়েল মুর্মূর দাবী বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে আছেন। আর গোপাল চন্দ্র সাহা জানালেন কোন বক্তব্য নেই। যা বলার জেলা বিজেপির সভাপতি বলবেন।